অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেছেন, বর্ণবাদী ইসরাইল সরকার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে এবং গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা বিশেষ করে ফিলিস্তিনি শিশুদেরকে হত্যার আলাদা মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। আর এতে আমেরিকা এবং কিছু ইউরোপীয় দেশ ইসরাইলকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দিচ্ছে।
ইরান সফরত ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ এশিয়া আল-সুদানির সঙ্গে রাজধানী তেহরানে আজ (সোমবার) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট রায়িসি।
তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজার ওপর দখলদার ইসরাইলের এই বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে।” প্রেসিডেন্টর রায়িসি জোর দিয়ে বলেন, গাজার অসহায় ও নিপীড়িত জনগণের জন্য দ্রুত প্রাণ সহায়তা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, গাজার নিরীহ মানুষকে গণহত্যা থেকে ইসরাইল ও আমেরিকাকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে মুসলিম, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক দেশগুলোর যেকোনো পদক্ষেপকে ইরান সহযোগিতা এবং সমর্থন করবে। প্রেসিডেন্ট রায়িসি উল্লেখ করেছেন যে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে তেহরান এবং বাগদাদের অভিন্ন অবস্থান রয়েছে।
গাজায় ত্রাণ পাঠানো এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার বিষয়ে মার্কিন দাবিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট “নিছক মিথ্যা” বলে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের দাবি মার্কিনীদের কাজের সাথে মেলে না।
তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, ফিলিস্তিনি জনগণকে নৃশংসভাবে হত্যা করার জন্য আমেরিকা ইহুদিবাদী ইসরাইলকে অস্ত্র, গোয়েন্দা তথ্য এবং আর্থিক সহায়তা দেয় এবং এগুলো ইসরাইলকে হত্যাযজ্ঞ চালাতে উত্সাহিত করে।”
ইরানের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর জন্য যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ব্রাজিলের উপস্থাপিত খসড়া প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে। এই উদ্যোগ প্রকৃতপক্ষে ইসরাইলের বর্বর সরকারকে আরো হত্যাকাণ্ড চালানোর পথ প্রশস্ত করবে।
Leave a Reply